উখিয়া সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল করিম সিকদারের বিরুদ্ধে কলার ছড়া চুরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চুরির মতো নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।
কলা চুরির ঘটনার বিবরণ
১৭ নভেম্বর মধ্যম হলদিয়া সিকদারপাড়া এলাকায় পুলিশ সদস্য রবিউল করিম সিকদারের বাড়ি থেকে প্রায় ১৫০০ টাকা মূল্যের একটি কলার ছড়া চুরি করা হয়। স্থানীয়রা টমটম গাড়িতে কলার ছড়া বহনের সময় বিষয়টি লক্ষ্য করে তাকে আটক করেন। পরবর্তীতে জানা যায়, চুরি করা কলার ছড়া মরিচ্যা বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা চলছিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত রাশেদুল করিমের মা রোকিয়া খানম এবং তার মামাতো ভাই মোহাম্মদ সাদেক। তারা উভয়েই চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং রাশেদুল করিমের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য পরিবার অতিষ্ঠ বলে জানান।
পরিবারের অভিযোগ
রাশেদুল করিমের মা রোকিয়া খানম বলেন,
“আমার ছেলে এর আগেও সুপারি, মুরগি, ছাগলসহ নানা জিনিস চুরি করেছে। তার কারণে আমরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছি। তার বাবা জীবিত থাকাকালীন তাকে ত্যাজ্যপুত্র করার কথাও বলেছিলেন।”
কলা চুরির পূর্বের অপরাধমূলক কার্যক্রম
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাশেদুল করিমের বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স চুরির অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও উখিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী রাশেদুল করিমের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“রাশেদুল করিমের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পুরো সমাজের জন্য হুমকি। এভাবে চলতে থাকলে সমাজের শান্তি নষ্ট হবে।”
সমাজের প্রত্যাশা
এলাকাবাসী আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং কলা চুরির এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তারা আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদুল করিমের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্য কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।